কিভাবে একটি ইমেল টেস্টিং স্ট্রাটেজি বাস্তবায়ন করতে হয়
আপনি কি ধারণা করতে পারেন যে আপনার অডিয়েন্সরা আপনার ইমেল মার্কেটিংয়ের প্রতিটি দিকে কীভাবে সাড়া দেবে?
আপনার কাছে এমন তথ্য থাকতে পারে যা আপনাকে কিছু ধারণা দেয়, কিন্তু – যদি না আপনি আপনার অডিয়েন্সের চিন্তা ধারণা কেমন তা বুঝতে না পারেন তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং এ সফল হতে পারবেন না। আর এখানেই ইমেইল টেস্টিং আসে।
ইমেল টেস্টিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
ইমেইল টেস্টিং আপনাকে বুঝতে সাহায্য করে যে আপনার কৌশলের ভেরিয়েবল উপাদানগুলি কিভাবে ফলাফলকে প্রভাবিত করে। কোন কৌশলগুলি সর্বোত্তম ফলাফল পায় তা বোঝার এটি একটি স্মার্ট উপায়। টেস্টিং আপনাকে ক্রমাগত আপনার এগিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি পরিমার্জিত এবং প্রয়োজনীয় রূপান্তরে সাহায্য করে। অডিয়েন্সদের সাথে বেশি বেশি যোগাযোগ এবং কনভারসেশন করার এটি একটি দ্রুততম মাধ্যম।
ইমেল টেস্টিং ছাড়াই, আপনি ভুল অনুমান করতে পারেন এবং ভুল কৌশল অবলম্বন করতে পারেন যা আপনার মূল্যবান সময়কে নষ্ট করে। উদাহরণস্বরূপ, ধরে নিন আপনার ওপেন রেট কম। আপনি অনুমান করতে পারেন এটি আপনার সাবজেক্ট লাইনের কারণে এবং এটি উন্নত করতে আপনি প্রচুর সময় ও অর্থ ব্যয় করেন কিন্তু আপনি শুধুমাত্র একই ফলাফল পান।
আপনার এই সম্পর্কে খুব কম ধারণা থাকতে পারে যে আপনার ওপেন রেট কম ছিল সেন্ড টাইম এর জন্য। আপনার সাবজেক্ট লাইনের সাথে এর কোন সম্পর্ক ছিল না। টেস্টিং নিশ্চিত করে যে আমরা অপ্টিমাইজেশনে কোন ডেটা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এটি আমাদের কোন বিষয়ে চেষ্টা বৃদ্ধি করতে হবে তা নির্দেশ করে, নিশ্চিত করে যে আমরা সঠিক জিনিসগুলির উন্নতি করি। যে জিনিসগুলি আসলে সরাসরি ফলাফলের উন্নতি করবে।
আপনি কি টেস্ট করবেন?
আপনার ইমেল কৌশলের কোন উপাদানগুলি টেস্ট করা উচিত? এখানে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করা হল –
- send times
- send frequency
- subject lines
- templates
- messaging
- colours
- call to action
- button text
- button style
- use of images
- from line
এই ইমেল উপাদানগুলির প্রতিটি পরিবর্তন করে আপনার অডিয়েন্সদের আপনার ইমেলগুলির সাথে যুক্ত হওয়ার পদ্ধতি পরিবর্তন করতে পারেন। মানুষ আবেগপ্রবণ প্রাণী। একটি বাটনের রঙ বা অবস্থানের মতো সহজ কিছুর পরিবর্তনে তাদের প্রতিক্রিয়া পরিবর্তন করতে পারে। ইমেল A/B টেস্টিং আপনাকে প্রতিটি মূল উপাদানের সবচেয়ে কার্যকর সংস্করণ বের করতে সাহায্য করে, যাতে আপনি ফলাফলগুলি অপ্টিমাইজ করতে পারেন।
কিভাবে একটি ইমেল টেস্টিং ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করতে হয়
আপনি টেস্টিং এর মূল্য এবং কোন উপাদানগুলি আপনাকে বিবেচনা করতে হবে তা বুঝতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে আপনি ইমেইল টেস্টিং বাস্তবায়ন করবেন? এখানে একটি ইমেল টেস্টিং কৌশল বাস্তবায়নের জন্য ধাপে ধাপে পদ্ধতিগুলো বলা হলো –
১. একটি মিজারেবল অবজেক্টিভ (Measurable objective) নির্ধারণ করা
প্রথমে, একটি মিজারেবল অবজেক্টিভ সেট আপ করুন। এটি করার জন্য, আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন মেট্রিকস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
- open rates
- click-through rates
- click-to-open rates
- unsubscribe rates
- website conversions
- revenue
আপনার অবজেক্টিভকে লক্ষ্য করে কোন মেট্রিক আপনার উন্নত করা দরকার তার দিকে খেয়াল রাখুন। উদাহরণস্বরূপ, “open rates উন্নত করতে”।
২. অনুমান (hypothesis) তৈরি করা
পরবর্তী, টেস্ট করার জন্য একটি হাইপোথিসিস তৈরি করুন। একটি হাইপোথিসিস হল আপনার দর্শকরা কিভাবে আচরণ করবে সে সম্পর্কে একটি তত্ত্ব। একটি ভাল হাইপোথিসিস অন্তর্ভুক্ত থাকে –
* আপনি কি পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন
* আপনি কি মনে করেন ফলাফল কি হবে
* কেন আপনি মনে করেন যে এটি হবে
উদাহরণস্বরূপ, “যদি সন্ধ্যায় send time পরিবর্তন করে আনা হয়, তাহলে open rate অবশ্যই বাড়বে, কারণ তখনই লোকেরা কাজ শেষ করে।”
৩. কি টেস্ট করতে হবে তা নির্ধারণ করা
একবার আপনি আপনার হাইপোথিসিস তৈরি করে নিলে, আপনাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এই হাইপোথিসিসটি পূরণ করার জন্য ঠিক কী টেস্ট করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, এটি send time দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পরিবর্তিত হতে পারে।
৪. স্যাম্পল (sample) এর আকার বিবেচনা করে
আপনার টেস্ট থেকে অর্থপূর্ণ ফলাফল পেতে এখন আপনাকে নমুনার (sample) আকার বিবেচনা করতে হবে। খুব ছোট নমুনার (sample) আকারে টেস্ট আপনাকে অনেক কিছু বলবে না। যদি আপনার প্রচুর দর্শক থাকে তবে আপনি একটি বড় নমুনায় (sample) টেস্ট করা উচিত নয়। এর অর্থ বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে সম্ভাব্য অকার্যকর ক্যাম্পেইন করা। যদি আপনার একটি ছোট অডিয়েন্স থাকে তবে তাদের মধ্যে টেস্ট করার কথা বিবেচনা করুন।
৫. একটি টেস্টিং ক্যালেন্ডার তৈরি করা
আপনাকে একটি টেস্টিং ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এটি আপনাকে আপনার টেস্টিং কৌশলের রূপরেখা করতে সাহায্য করে। একটি অর্থপূর্ণ ফলাফল খুঁজে পেতে আপনাকে একই অনুমানের (hypothesis) একাধিক টেস্ট চালানোর প্রয়োজন হতে পারে। আপনার টেস্ট করার জন্য একাধিক অনুমানও (hypothesis) থাকতে পারে। একটি ক্যালেন্ডার আপনাকে কোন সময়ে কোন টেস্ট করতে হবে এবং কোনটিতে বেশি অগ্রাধিকার দিতে হবে তা বলে দিবে।
৬. টেস্ট লাইভ করা
এখন সময় এসেছে পরীক্ষা তৈরি করে লাইভ সেট করার। আপনার টেস্টিং স্ট্র্যাটেজিকে সমর্থন করার জন্য টেমপ্লেট তৈরি এবং মানিয়ে নেওয়ার জন্য কোন সহজতর টুলস ব্যবহার করুন। আপনার টেস্টিং দ্রুত বাস্তবায়ন করার সক্ষম অর্জন করা খুবই মূল্যবান। টেস্ট করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন টেস্টিং আপনার স্বাভাবিক ইমেইল মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়। কোন প্রকার ব্যাঘাত না ঘটিয়ে ইমেল টেস্টিং যেন আপনার নতুন পদ্ধতি গ্রহণে সাহায্য করে।
৭. তথ্য সংগ্রহ এবং রিপোর্ট
এরপরে, ডেটা সংগ্রহ এবং রিপোর্টিং আসে। আপনার নিজস্ব ইমেইল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম রিপোর্টিং কাজকে সহজ করে তোলে। আপনার দল এবং যারা উচ্চতর তারা সহজেই বুঝতে পারবে এমনভাবে রিপোর্টগুলো পাওয়া যায়। আপনি যদি A/B টেস্ট সাবজেক্ট লাইনে থাকেন তাহলে আপনি জানতে পারবেন যে কোনটি সবচেয়ে ভাল ফলাফল দিয়েছে।
৮. পুনরায় টেস্ট করা
যদি আপনার ফলাফল কিছুটা এদিক ওদিক হয়, তাহলে আত্মবিশ্বাসের সাথে আপনার হাইপোথিসিস প্রমাণ করা বা খণ্ডন করা কঠিন হতে পারে। তখনই পুনরায় টেস্ট করা একটি ভাল ধারণা। অনির্দিষ্ট ফলাফলের জন্য, অর্থপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য টেস্টটি দুই বা তিনবার চালানোর চেষ্টা করুন।৯. অপ্টিমাইজ করা
একবার আপনি চূড়ান্ত ফলাফল পেয়ে গেলে, আপনি আপনার হাইপোথিসিসকে প্রমাণ বা খণ্ডন করতে পারেন। এটি আপনাকে সেই অনুযায়ী আপনার কৌশলটি গ্রহণ করতে দেয়। কখনও কখনও আপনার পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল নাও থাকতে পারে। ফলাফল নিচে যেতে পারে কিন্তু হতাশ বোধ করবেন না। একটি হাইপোথিসিসকে প্রমাণ করতে ব্যর্থতাকে সাফল্য হিসেবে দেখা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি প্রমাণ করেন যে send time সন্ধ্যা ৭টা open rate বৃদ্ধি করে, তাহলে আপনি এখন বোর্ডে send time পরিবর্তন করতে পারেন।