এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি দরকার, কিভাবে শুরু করবেন – পার্ট ১
আসসালামুয়ালাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদেরকে দেখাব কিভাবে Google Ad দিয়ে খুব সহজে এফিলিয়েট অফার প্রমোট করে আয় করতে পারবেন। একটু কষ্ট করে যদি এই লিখাটা পড়েন তাহলে আপনি Google এ কীভাবে এফিলিয়েট অফার প্রমট করতে হয় তা শিখে আগামি ১ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পেইন করে আয় করা শুরু করতে পারবেন। ইন শা আল্লাহ্।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক, কি বলেন?
অনলাইনে আয় করা আসলে খুব বেশী কঠিন একটা কাজ না, যদি আপনি লেগে থাকেন, আর সঠিক পথে আগাতে থাকেন সঠিক ভাবে।
আপনি যদি সফল ভাবে অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে শুধু মাত্র কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে হবে।
১। লক্ষ ঠিক করা
২। নিশ ঠিক করা
৩। এফিলিয়েট নেটওয়ার্কে জয়েন করা
৪। ভালো মানের অফার সিলেক্ট করা
৫। ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন করা
৬। ভালো মানের আর্টিকেল লিখা
৭। ভিসিটর জেনেরেট করা
চলুন এবার বিস্তারিত জানা যাক।
Google Ad হল #১ প্লাটফর্ম অনলাইনে কোয়ালিটি ভিসিটর পাওয়ার জন্য। কারণ গুগল হল বিশ্বের সব থেকে বড় সার্চ ইঞ্জিন, যেখানে প্রতিদিন সারা বিশ্বের লক্ষ কোটি মানুষ বিভিন্ন ইনফরমেশনের জন্য ও পন্য কিনার জন্য সার্চ করে থাকে। তাই কোন ব্যাক্তি তার পন্য বা সেবা বিক্রির জন্য যদি ভালোভাবে গুগল এ এড দিতে জানে তাহলে তাকে কখনই অর্থাভাবে পড়তে হবেনা, সে তার পন্য গুগল এ এড দেয়ার মাধ্যমে খুব তারাতারি বিক্রি করে উপার্জন করতে পারবে আর যত খুসি সে বিক্রি করতে পারবে, কারণ গুগল এ এড দিতে খুব বেশী ঝামেলা নেই ও খুব বেশী টাকা ও লাগেনা।
এখন অনেকের মানে প্রশ্ন আসতে পারে, আমার তো বিক্রি করার মত কিছু নেই, আমার কোন দোকান নেই, কোন পন্য বা সেবা ও নেই যা গুগলে বিক্রি করে আমি আয় করতে পারি, তাহলে আমি কি করব? আমি কিভাবে আয় করতে পারব গুগলে এ এড দেয়ার মাধ্যমে? আমার জন্য কি কোন উপায় আছে? হ্যা, অবশ্যয় আছে। সারা বিশ্বের এমন অনেক অনেক ব্যবসা আছে যারা প্রতিদিন এমন লোক খুজে যে বা যারা ওই কোম্পানি বা ব্যাক্তির পন্য বিক্রি করে দিবে শুধু মাত্র কমিশন এর ভিত্তিতে। অর্থাৎ আপনি শুধু ওই ব্যাক্তির বা কোম্পানির পন্য বিক্রয় করে দিবেন, জতবার আপনি তার পন্য বিক্রয় করবেন ততবার ওই ওই কোম্পানি আপনাকে কমিশন দিবে। এবার ভাবুন, আপনি যদি একদিনে ৫ তা পন্য বিক্রয় করতে পারেন, যে পন্যের দাম হল ৫০ ডলার, কোম্পানি আপনাকে বলল, এই ৫০ ডলার এর পন্য আপনি যত বার বিক্রয় করতে পারবেন, ততবার আপনাকে আমরা ১০ ডলার করে দিব, তাহলে ভাবুন একবার, আপনি আজকে ৫ টা পন্য বিক্রয় করলেন তাহলে ৫ x ৫০ = ২৫০ ডলার আপনি কোম্পানির জন্য বিক্রয় করে দিলেন, তাহলে সেখান থেকে আপনার কমিশন হল ৫০ ডলার, তার মানে আপনি একদিনে আয় করলেন ৫০ ডলার, যেখানে আপনাকে কোম্পানি স্টাফ বেতন, প্রোডাকশন খরচ, প্রোডাক্ট ডেলিভারি, গেরেন্টি, ওয়ারেন্টি কোন কিছুই নিয়ে মাথা ঘামানু লাগছেনা, সব কিছু কোম্পানির দায়িত্ব, আপানার কাজ হল শুধু বিক্রয় করা আর আয় করা।
এখন কথা হল এই এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি কিভাবে শুরু করবেন আর কিভাবে গুগল এর মাধ্যমে সেল করে আয় করা শুরু করবেন?
সেটার জন্য আপনাকে আগে একটি ভালো অফার খুজে বের করতে হবে কোন একটি ভালো এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক থেকে। উদাহারন স্বরূপ আমি ধরে নিলাম আপনি M4Trix / Maxbounty যে কোন একটা নেটওয়ার্কে জয়েন হলেন, জয়েন হয়ে এবার একটা ভালো অফার খুজে বের করলেন ভালো আপনি আপনার এফিলিয়েট একাউণ্ট এর মানেজার কে মেসেজ দিয়ে জেনে নিতে পারেন এই মুহুর্তে সব থেকে ভালো অফার কোনটি? তখন সে আপনাকে সব কিছু বলে দিবে।
ভালো কিছু এফিলিয়েট মার্কেটিং নেটওয়ার্ক এর নামঃ
- Maxbounty
- M4Trix
- MaxWeb
- AdWorkMedia
- AdCombo
এবার যে অফার টি আপনার এফিলিয়েট ম্যানেজার থেকে পেলেন ওটার উপরে আপনাকে একটি সুন্দর ল্যান্ডিং পেজ বানাতে হবে। ল্যান্ডিং পেজ আসলে কি? ল্যান্ডিং পেজ হল আপনি যে প্রোডাক্ট টি বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে একটি সুন্দর লিখা, যেখানে আপনি প্রোডাক্ট টি কেন ভালো, প্রোডাক্ট টি কেন তার কেনা উচিৎ, প্রোডাক্ট টি কিনলে সে কিভাবে তার সমস্য সমাধান করতে পারবে, ইত্যাদি। ল্যান্ডিং পেজ এ আরও থাকতে পারে ওই প্রোডাক্ট এর উপরে সুন্দর একটি ভিডিও, সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি, আগের কাস্টমারদের রিভিউ, ডিস্কাউন্ট অফার, ইত্যাদি। নিচে কয়েকটি ল্যান্ডিং পেজ এর উদাহারন দেয়া হল।
Landing Page 1
Landing Page 2
ভালো কিছু ল্যান্ডিং পেজ বানানোর সাইট এর নামঃ
- PureLander.Com (সস্তা)
- ClickFunnels.com
- LeadPages.Com
এতক্ষন পর্যন্ত আমরা জানলাম গুগল এ এফিলিয়েট অফার প্রমোট করার জন্য আমাদের কে যে কয়েকটি কাজ করতে হবে সেগুলো হল –
১। যে কোন একটি ভালো নিস সিলেক্ট করতে হবে
২। কোন একটা ভালো এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক এ জয়েন হতে হবে।
৩। যে কোন একটা ভালো অফার প্রমোট করার জন্য বেছে নিতে হবে।
৪। সেই অফার এর উপরে আমাদের কে একটি সুন্দর ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন করতে হবে।
৫। এবার সেই ল্যান্ডিং পেজ কে প্রতিদিন প্রমোট করতে হবে।
এবার চলুন ল্যান্ডিং পেজ প্রমোট করার বেপারে কথা বলা যাক।
আপনি আপনার নির্বাচিত এফিলিয়েট অফার টি সরাসরি গুগল বা ফেচবুকে প্রমট করতে পারবেন না, এটা তাদের এড দেয়ার নিয়মের বিরোধী। তাই এফিলিয়েট অফার প্রমোট করার জন্য আমাদের কে অবশ্যই ল্যান্ডিং পেজ বানাতে হবে। ল্যান্ডিং পেজ রেডি হলে এবার আমাদের একমাত্র কাজ হল সেটাতে ভিসিটর বা ট্রাফিক পাঠানো।
আর এই জন্যই আমরা গুগল এড কে ব্যাবহার করব। কারণ গুগল হল বিশ্বের #১ ট্রাফিক সোর্স। গুগলে এড দেয়ার জন্য আপনার শুধু মাত্র ২ টা জিনিস দরকার, তা হল –
১। একটি গুগল একাউন্ট
২। একটি এন্ডোর্স (US $ Dollar) সাপোর্ট করা মাস্টার কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড
প্রথম টি আপনি খুব সহজেয় পেয়ে যাবেন বা করে নিতে পারবেন, কিন্তু দ্বিতীয় টি পাওয়ার জন্য আপনার নিজের একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে। যদি আপনার কাছে একটি পাসপোর্ট থাকে তাহলে আপনি EBL – Eastern Bank Ltd. থেকে একটি একোয়া/Aqua কার্ড করে নিতে পারবেন যেটা দিয়ে আপনি খুব সহজেয় গুগল এ এড শুরু করতে পারবেন। এই কার্ড টি নিতে আপনাকে শুধু মাত্র আপনার পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র, ও ৫৭৫/- টাকা নিয়ে আপনাকে ইবিএল এর যে কোন একটা শাখায় যেতে হবে।
কার্ড এর ছবি নিচে দেয়া হল।
গুগলে কিভাবে এড দিবেন তার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা লিখা আমাদের এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে হবে। তাই চোখ রাখুন আমাদের এই ওয়েবসাইটে, ইউটিউব চ্যানেল এ, আর ফেচবুক পেজ এ।
আজকে এত টুকুতেই শেষ করলাম, দেখা হবে পরের কোন একটি লিখাতে, সেই পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন – ধন্যবাদ।
এই ভ্রমনে আপনাকে আরও একধাপ এগিয়ে রাখতে আমি সাজিয়েছি এক অনন্য কোর্স যা আপনাকে সবার থেকে ও সব থেকে বেশী এগিয়ে রাখবে এবং খুব দ্রুত আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে – ইন শা আল্লাহ্।